যশোরে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন। তবে লকডাউনের বিধিনিষেধ মানতে অনিহা দেখা গিয়েছে যশোরের জনগণের ভেতর। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রির দোকানপাট বাদে বাকি সকল শপিং মল মার্কেট বন্ধ থাকলেও রাস্তাঘাটে বেপরোয়া ভাবে চলফেরা করতে দেখা গিয়েছে পথচারীদের।
ইজিবাইক, থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেলে যাত্রী সীমিত করলেও নানা প্রয়োজনে অজুহাতে বিনা কারনে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। এরই মধ্যে যশোরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজারের উপরে। গত ২৪ ঘন্টায়ও যশোরে ৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সুত্র এটি নিশ্চিত করে।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উপসর্গের রোগী। ফলে জায়গা সংকটে মেজেতেও দিনা কাটাচ্ছে রোগীরা। এদিকে জায়গা সংকট হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও বিঘ্ন ঘটছে বলপ জানান চিকিৎসকেরা। অনেক রোগী জায়গা সংকটের কারণে খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাড়ি জমাচ্ছে। সেখানেও পড়তে হচ্ছে জায়গা সংকটে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধী কঠোরভাবে পালন করতে মাঠে রয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন,এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা।
দোকান পাট বন্ধ থাকা সত্তেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাটে ভিড় দেখা গিয়েছে। সেই সাথে সড়কে রয়েছে পথচারীদের বেপরোয়া ঘোরাঘুরি। বিধিনিষেধ আইন অমান্য করলে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এর আগে গত মঙ্গলবার গন বিজ্ঞপ্তিতে যশোরের ২ টি পৌরসভা লকডাউন ঘোষণা করে যশোর জেলা প্রশাসন।