ঝিনাইদ কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী এহসানুল ইসলাম অর্কিডকে হত্যার অভিযোগে ৪ জনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ বাজার কাঁঠালবাগান এলাকার ওসমান গণির স্ত্রী ও নিহতের মা আরজিনা সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো, ঝিনাইদহের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ভাইপো আবেদ আলীর ছেলে মধুগঞ্জ বাজার কাঁঠালবাগান এলাকার মনিরুজ্জামান রিংকু, রিংকুর স্ত্রী তারিন খাতুন, কালীগঞ্জের খয়েরতলা গ্রামের ফয়সাল হোসেন ও যশোর শহরের বারান্দীপাড়া বাঁশতলার রুনা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, এহসানুল ইসলাম অর্কিড কালীগঞ্জ বাজারে বাইসাইকেলের ব্যবসা করতো। আসামি মনিরুজ্জামান রিংকু সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ভাইপো। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ চোরাচালান ব্যবসা করে। আসামি রিংকু তার স্ত্রী তারিনকে দিয়ে পর পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিত। অর্কিডের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো আসামি তারিনের। গত ৪ মার্চ রাতে আসামি তারিন মোবাইল করে অর্কিডকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে যশোরে দেখা করতে বলে। অন্যথায় তার সাথে বিয়ের কথা প্রচার করবে বলে হুমকি দেয় অর্কিডকে। মানসম্মানের ভয়ে অর্কিড পরদিন ভোরে নিজ মোটরসাইকেলে যশোর শহরের পুরাতন কসবা বটতলা জামে মসজিদের সামনে আসে। এরপর আসামিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্কিডের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে আসামি রিংকুর শাশুড়ি রুনা বেগমকে দিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পূর্বাশা বাস কাউন্টারের সামনে অর্কিডকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে অর্কিডের বাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে অর্কিড মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বাড়িতে এনে অর্কিডের লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।