মণিরামপুরের খোজালিপুর গ্রামের যুবক মামুনকে হত্যার অভিযোগে চার মাস পর ১০ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার নিহতের পিতা মশিয়ার রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি গ্রহণ করে ২৭ জুন শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আসামিরা হলো, মণিরামপুরের কদমবাড়িয়া গ্রামের ইসলামের ছেলে আরমান, খোজালিপুর গ্রামের সানাউল্লাহ মোড়লের ছেলে আনিসুল, মোহাম্মদের ছেলে আইয়ুব সরদার, জহর আলীর ছেলে সোবহান, শুকুর মোড়লের ছেলে ইলিয়াস, নজরুল ইসলামের ছেলে ইমন, গনি সরদারের ছেলে আলমগীর, লতিফ সরদারের ছেলে শাহাজান, বাকশপোল গ্রামের আনিমউদ্দিনের ছেলে ইনামুল ও রউফের চেলে রবিউল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক থেকে আসামিরা মামুনকে দেখা মাত্র অজানা কারণে তাড়া করত। বিষয়টি তার পিতার নজরে আসলে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে তাড়া করতে নিষেধ করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আসামি আরমান একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে মামুনের পিছু নিয়েছিল। পরদিন রাতে মামুন বাড়িতে ছিল। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আরমান বাড়িতে এসে মামুনকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে খোজালি গ্রামের আনিসুল বাড়িতে এসে মামুন দক্ষিণ পাড়া মসজিদের সামনে পড়ে আছে, তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। এ সংবাদ শুনে বাড়ি সকলে ঘুম থেকে উঠে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মামুন পড়ে আছে। আনিসুল তাদের সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত তাকে নিয়ে যেতে বলে। অন্যথায় মামুনকে ইটের ভাটার মধ্যে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে সকালে এসে মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এব্যাপারে মামলা করার কথা বলে এটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিল পুলিশ। পরে এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।