আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:২৮

মাদক মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন পরীমনি

রাজধানীর বনানী থানার মাদক মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত পরীমনির দেওয়া অবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
এরআগে ১২ মে পরীমনি অসুস্থ জনিতকারণে ব্যাক্তিগত হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। আজ শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দেন পরীমনি। এদিন মামলার বাদি র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমানকে জেরা করেন পরীমনির আইনজীবী। জেরা শেষে আগামি ১৯ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১২ মে সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে পরীমনি হাজিরা দেন। ওই দিন পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহনের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালতে কোনো সাক্ষি উপস্থিত হননি। অন্যদিকে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।
এরওআগে ২৯ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। এসময় অন্য দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আসামিপক্ষের আইনজীবী আপিল ডিভিশনের আবেদনের কপি আদালতে দাখিল করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ মে দিন ধার্য করেন।
গত ১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদি র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এরমধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদির জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে এডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দু’আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদি হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগি দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে।

 

খানজাহান আলী /শ/ঢাকা

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত