আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৯:২৪

মোংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, বন্দরে পণ্য খালাস-বোঝাই বন্ধ।

স্টাফ রিপোর্টার।। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদী উত্তাল থাকলেও স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে মোংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে। তবে এ অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপদাহ বিরাজ করছে।

এদিকে স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করলেও মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দরে কয়লা ও কিংকারবাহীসহ মোট ১১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জরুরি কন্ট্রোল রুম খুলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয়েছে এলার্ট-২। বন্দরে অবস্থারত সব প্রকার নৌযানকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সম্ভাব্য ঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরদিকে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান জানান, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুম। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এসব সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে ঝাড়ু দিয়ে ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
সোমবার (১৮ মে) দুপুরে কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পরিষ্কার তো দূরের কথা অধিকাংশ সাইক্লোনের ভবনের গেট ও দরজা জানালা বন্ধ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে নদীতে দুপুরের জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি। তারপরও বন্দর কেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। মোংলা ও পশুর নদীর পূর্ব পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিস্ট বোড নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন খালেও বিভিন্ন নৌযান নিরাপদে নঙ্গর করে রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত