যবিপ্রবি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকবে তিনদিন।

স্টাফ রিপোর্টার : তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার কাজ । বিদ্যুতের পুনঃসংযোগ স্থাপন, পিসিআর মেশিনের সঠিকতা পুনঃযাচাই এবং ল্যাব জীবাণুমুক্ত করার জন্য করোনা নমুনা পরীক্ষা তিন বন্ধ রাখা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলনেতা ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যবিপ্রবি অ্যাকাডেমিক ভবনে বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি বাড়ানো হচ্ছে। এর জন্য তিনদিন সময় লাগবে বলে তাকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

যেহেতু ল্যাব তিনদিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে, তাই এই সুযোগে আরো কিছু কাজ সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ । ভাইরাস নিয়ে কাজ করা ল্যাব নির্দিষ্ট সময় পর পর জীবাণুমুক্ত করতে হয়। এখন সেই কাজটি করা হচ্ছে। পাশাপাশি পিসিআর মেশিনের পুনঃযাচাইয়ের কাজটিও (ক্যালিব্রেশন) করা হচ্ছে।’

যবিপ্রবির পিসিআর মেশিনটি সরবরাহ করে ‘ওভারসিজ মার্কেটিং কোম্পানি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে তাদের এক্সপার্টরা এসে মেশিনটি পুনঃযাচাই শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এছাড়া ল্যাবের একাংশে কিছু মেরামত কাজও করার দরকার ছিল। এই ফাঁকে সেই কাজটিও করে নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল পাটোয়ারি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের জন্য নতুন একটি সাব স্টেশন বসানো হচ্ছে। আগে থাকা ৮০০ কেভির সাব স্টেশনের পাশাপাশি একই ক্ষমতার আরেকটি সাব স্টেশন বসানোর কাজ চলছে। আশা করা যায়, আগামীকাল নতুন সাব স্টেশন থেকে অ্যাকাডেমিক ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।

ড. জাহিদ বলেন, আগামী সোমবার ল্যাব চালু করতে পারবো বলে আশা করছি। সেই ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানানো সম্ভব হবে।

এদিকে, যশোর সিভিল সার্জনের দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার যশোর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো খুলনা ল্যাবে পাঠানো হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও ক্ষমতার অতিরিক্ত নমুনা জমা পড়ছে। এর ফলে তাদের ওখানেও জট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে গত সপ্তাহে বাগেরহাট থেকেও যবিপ্রবি ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়েছে।