আজ - শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - দুপুর ১২:২৩

যশোরে একরাতে ৬ দোকানে চুরি

যশোর সদর উপজেলার রাজারহাটে এক রাতে ছয় দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চোরেরা তিনজন নাইটগার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। পরে ছয়টি দোকান থেকে বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে সটকে পরে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে রাজারহাট যশোর ট্রেডিং এর সামনে গিয়ে দেখা যায়- রাস্তার একপাশের পাঁচটি ও আরেকপাশের একটি দোকানে তালা ভাঙা। বিভিন্ন মালপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

প্রতিষ্ঠান মালিকেরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় একটি পিকআপ গাড়িতে ৬/৭ জন তাদের যশোর ট্রেডিং এর সামনে দাঁড়ায়। পড়ে সেখানে দায়িত্বে থাকা নাইটগার্ড আব্দুল মান্নান ও গোলাম হোসেনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।

অপর প্রান্তে আরেকজন নাইটগার্ড আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও বেঁধে ফেলে পরে তিনজনতে ঐশি পাতি ঘর নামের দোকানের মধ্যে আটকে রাখে। পরে তারা বিভিন্ন দোকানের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর ওই ছয়টি দোকানের তালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, সিসি ক্যামেরার সরঞ্জাম, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল নিয়ে ওই ট্রাকে নিয়ে রাত চারটার দিকে চলে যায়। পরে সকালে এসে নাইট গার্ডদের উদ্ধার করে এসব কথা জানেন। এ ঘটনার পর তারা প্রশাসনকে জানান।

থানায় দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে- ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী ঐশি পাতিঘরের মালিক ইসরাইল হোসেনের সাতলাখ টাকা, শেখ ওয়াল্ডিং এর মালিক মুস্তাক শেখের ৮০ হাজার টাকা , বাবু স্টোরের মালিক পরাগ হাসানের ৭০ হাজার টাকা, সোহাগ অটোর মালিক সোহাগ হোসেনের ৬০ হাজার , কে আর এন্টার প্রাইজের মালিক আব্দুল আওয়ালের এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ও নিউ এমএম মটরসের মালিক মামুন হোসেন রনির একলাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দিকে, এঘটনার পর আশপাশের ব্যভসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় দোকানী সাকিব হোসেন সহ আরো কয়েক ব্যবসায়ী নিজেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনার রহস্য উদঘটনে কাজ করছে।

আরো সংবাদ