যশোরে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৫ জনের।
এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাপসাতালে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগীর চাপ। হাসপাতালে বর্তমানে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২১৬ জন।
রোববার (৪ জুলাই) যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ২৪২ জনের নমুনায় ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জিন এক্সপার্টে টেস্টে সাতজনের নমুনায় দুজনের ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩২৩ জনের নমুনায় ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি। আক্রান্তের হার ৩৪ শতাংশ।
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৯। জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৩২ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন।
এদিকে করোনা রোগীর চাপ আরও বেড়েছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাতজন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যশোর হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেডজোনে ১১৮ শয্যার বিপরীতে এখন ভর্তি রয়েছেন ১২১ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ইয়েলোজোনে ২২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৯৫ জন।
হাসপাতালের রেডজোনে ৪০টি শয্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও রয়েছেন।
এর আগেরদিন জেলায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১৪ জন।