যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা করেছেন ও নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। বিশ্বের উন্নত দেশ যখন ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশও একই সময় পেয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও জনগণের প্রতি তার ভালবাসার নিদর্শন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (টিকা) নিতে এসে এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি যে টিকা নিয়েছি তা বুঝতেই পারিনি। সূচের ব্যাথাও টের পাইনি। সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কোনো সমস্যা এখন পর্যন্ত হচ্ছে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল যশোর জেলায় চার হাজার ৯৫৫ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে ৫৭ হাজার ২শ’ ৩৫ জন টিকা নিলেন।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বৃহস্পতিবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন এক হাজার ৫৪৯ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৮৯ জন পুরুষ ও ৪৬০ জন মহিলা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। পুলিশ হাসপাতালে ৬৬ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৭৯ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্র থেকে ৩১১ জন পুরুষ ও মহিলা ২১৯ জন, বাঘারপাড়ায় পুরুষ ১৭৫ ও মহিলা ১৩৫ জন, চৌগাছায় পুরুষ ১৯৬ ও মহিলা ১৪৪ জন, ঝিকরগাছায় পুরুষ ২১৩ জন ও মহিলা ১২২ জন, কেশবপুরে পুরুষ ১৬৮ ও মহিলা ১২২ জন, মণিরামপুরে ৩৪৭ ও মহিলা ২৬৯ জন এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছে ২৯২ জন পুরুষ ও ১৩৪ জন মহিলাকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় ৬২ হাজার ৭৩৮ জন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন টিকা নেওয়ার জন্য এর মধ্যে ৫৭ হাজার ২৩৫ জন টিকা গ্রহণ করেছন। টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৭ হাজার ২৪২জন পুরুষ ও ১৯ হাজার ৯৯৩ জন মহিলা রয়েছেন। এখনও পাঁচ হাজার ৫০৩ জন টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।