যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ছয়জন। শনাক্তের হার ৩৮ শতাংশ। ইতোমধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট পূর্ণ হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে ৮৭ জন ভর্তি রয়েছেন। আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিত্রও একই।
শনাক্তের এ ঊর্ধ্বগতি রুখতে লকডাউন কার্যকরের কাজ করছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে রোগীর চাপ সামাল দিতে নতুন ওয়ার্ড খোলার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জুন মাসের শুরু থেকেই যশোরে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ শতাংশ। মারা গেছেন ছয়জন। এর মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে একজন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুজন এবং শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে একজন ও ঝিকরগাছা দুজন মারা গেছেন। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১২২ জন। এর মধ্যে ৮০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ৮৭ জন ও ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন।
অপরদিকে স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি করতে নতুন করে ৪৫ শয্যার আরেকটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়েও চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।