তাজুল ইসলাম,যশোর : খুলনা-যশোর মহাসড়কে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সহসা কমছে না এ দুর্ভোগ। প্রকল্পের মেয়াদ থাকায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ওঠানো, ধুলাবালি, পাথর আর খানাখন্দের সঙ্গে নিত্য চলাচল এ অঞ্চলের মানুষের। সাথে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে কাদামাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও কাদামাটিতে গাড়ি আটকে থাকছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আর প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের পূর্ণ নির্মাণ কাজ চলছে। দুটি প্যাকেজে ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ মহাসড়কের কাজ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। ব্যস্ততম মহাসড়কটির বর্তমান প্রস্থ ২৪ ফিট। এটি এখন দুই লেনে উন্নীত হয়ে ৩৪ ফিট হবে। সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফিট গর্ত করে তা প্রথমে বালি ও পরে বালি-খোয়ার মিশ্রণ ও সবশেষ ১২০ মিলিমিটার বা প্রায় ৫ ইঞ্চি পুরুত্বের বিটুমিনাস সারফেসে তা ভরাট হয়ে তৈরি হবে মহাসড়ক। পালবাড়ি থেকে যশোরের শেষপ্রান্ত নওয়াপাড়ার রাজঘাট ৩৮ কিলোমিটারের মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার সময় ২০২০ সালের মে মাসে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে জনভোগান্তি। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি সংশ্লিষ্টদের। চালকরা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে সড়ক নির্মাণের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কথা স্বীকার করে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ সফিকুন নবী জানান, ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলছে দুটি ভাগে। ইতিমধ্যে ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে। তিনি বলেন, দ্রুত চলাচল উপযোগী করে দেয়ার জন্য ঠিকাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজধানীসহ দূরপাল্লার ৩২টি রুটের যানবাহন চলাচল করা এ মহাসড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ শেষ করা দাবি সংশ্লিষ্টদের।