আজ - শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:০২

যশোর বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে ১৫.২৫ শতাংশ।

উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০১৯-এ গত দুবছর নিম্নমুখী ফলের পর এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।

গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ বছর বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন।

গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮৯ জন। তবে ২০১৬ সালে ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দেশসেরা হয়েছিল যশোর বোর্ড।

বুধবার দুপুরে প্রকাশিত ফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ ফল নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এবারের ফল সন্তোষজনক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গতবারের চেয়ে এবার ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, এ বছর যশোর বোর্ড থেকে এক লাখ ২৬ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৯৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৪৪২ এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৫৩ জন।

পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ৬০ জন।

গত বছর এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৯ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬৬ হাজার ২৫৮ জন।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৩১ হাজার ৬৫২ জন ও ছাত্রী ৩৪ হাজার ৬০৬ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৮৯ জন। বহিষ্কৃত হয়েছিল ৪৭ জন।

২০১৭ সালে এই বোর্ড থেকে ৯৫ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৬৭ হাজার দুজন।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৩৩ হাজার ৮০৮ ও ছাত্রী ৩৩ হাজার ১৯৪ জন। পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৪৪৭ জন। বহিষ্কৃত হয়েছিল ৫৬ জন।

২০১৬ সালে এই বোর্ড থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৭২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল এক লাখ ৮ হাজার ৯২৯ জন।

পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৬ জন। পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয়েছিল ৮১ হন।

২০১৬ সালে দেশসেরা ফল অর্জনের পর ১৭ ও ১৮ সালে দুবছরে পাসের হার কমে যায় ২৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ড আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সন্তোষজনক ফল অর্জন করেছে।

শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২১ হাজার ১৪৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ হাজার ১০০ জন।

পাসের হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৫৪১ জন। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮২ হাজার ৪০৩ জন।

উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ৮৩৫ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৩২ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২২ হাজার ৬৮০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৫৬০ জন।

পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৯ ছাত্রছাত্রী।

এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, সবার সহযোগিতায় গত দুবছরের তুলনায় এবার যশোর বোর্ডে ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

এবার দুদক ও মন্ত্রণালয়ের নোটিশের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের ফরমপূরণ করায়নি।

ফলে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় পাসের হার বেড়েছে।

আরও একটি বড় ব্যাপার হলো- স্কুলপর্যায়ে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয়া এসএসসির প্রথম ব্যাচটি উত্তীর্ণ হয়েছিল ২০১৭ সালে।

ওই শিক্ষার্থীরাই এবার এইচএসসিতে অংশ নিয়েছে। এটিও ভালো ফলের আরেকটি কারণ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত