আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। পলাতক রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হওয়ার পর তার রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া কৌশলগত কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মত তাদের। সময় লাগলেও রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী তারা।
গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিজেই একটি ফাইল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইলে কি আছে তা নিয়ে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। যদিও পরে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান,যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয় বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দিবে না।
এর প্রায় একবছর পর রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়ে পুরনো নথি তলব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত এই কূটনৈতিক বলছেন, এই খুনি সম্পর্কে এতদিন ভুল ধারণা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করবো যে রাশেদ চৌধুরীকে তার একটা ফাইনাল বিচার করবে এবং সেই বিচারের প্রেক্ষাপটে আমরা তাকে ফেরত পাবো।’
সে দেশের আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে রাজনৈতিক বিষয়ক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো বলছে, দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা সিদ্ধান্ত পরিষ্কার তাকে ফেরত দেয়া হবে। হয়ত এ কারণেই রায় কার্যকরের আশা দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এখন উনি রিভিউ করে নিঃসন্দেহে উনি পাবেন যে সে এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো।’
তবে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে।
এ বছরের এপ্রিলে জাতির পিতার খুনি মাজেদকে গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করে সরকার। রাশেদ চৌধুরী ছাড়া পলাতক নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। আর আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।