দেশে রান্নার কাজে ব্যবহূত গ্যাসের দাম স্থিতিশীল রাখতে খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারি পর্যায়ের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ধরা হয়েছে ৯৭৫ টাকা। ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব বাজারে এ দামে এলপি গ্যাস বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু দাম নির্ধারণের পর এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রাজধানীসহ বেশির ভাগ শহরে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার। এতে গ্রাহক পর্যায়ে যেমন অসন্তোষ বাড়ছে, তেমনি এলপি গ্যাসের খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারাও পড়ছেন বিড়ম্বনায়। কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামে গ্যাস কিনতে চাইছেন। কিন্তু পরিবেশক বা ডিলার কারো কাছ থেকেই খুচরা বিক্রেতারা নির্ধারিত দামে গ্যাস কিনতে পারছেন না। ফলে ক্রেতাদের কাছেও কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলেছিল, এলপি গ্যাসের দাম বিষয়ক আদেশ বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অবশ্য বিইআরসির দাবি, তাদের আদেশের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম দামে সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। দেশের ২৯টি স্থানে কম দামে এলপি গ্যাস বিক্রির কথাও জানায় তারা।