আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১২:১০

সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে আরও ৪ জনের মৃত্যু

করোনা উপসর্গ নিয়ে মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৪০ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা কাটাখালি গ্রামের মৃত বজলুর রহমান সানার ছেলে মো. কামরুজ্জামান সানা (৬৪), সাতক্ষীরা শহরের আমতলা এলাকার মো. আব্দুল খালেকের স্ত্রী মোছা. রিজিয়া খাতুন (৩৫), সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের মৃত গোলাম মোড়লের স্ত্রী মোছা. রূপবান বিবি (৫৫) ও একই উপজেলার গায়েশপুর গ্রামের বিলাত আলীর ছেলে রুহুল কুদ্দুস (৫৫)।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ৯ জুন সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন জেলার আশাশুনির কাটাখালি গ্রামের মো. কামরুজ্জামান সানা। কিন্তু ভর্তির মাত্র ১০ মিনিট পর তিনি মারা যান।

একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ৬ জুন রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন আমতলা এলাকার আব্দুল খালেকের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৯ জুন) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত ৮ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের মৃত গোলাম মোড়লের স্ত্রী রূপবান বিবি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৯ জুন) বেলা ২টা ৪০ মিনিটে দিকে তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে করোনার একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে সদর উপজেলার গায়েশপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস গত ৬ জুন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৯ জুন) বেলা সোয়া ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৪০ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধ শতাধিক।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত চারজনেই করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থতার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।

আরো সংবাদ