সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমির কাছে ভূমি দখল করে ইসরায়েলের ক্রমাগত বিমান হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে কাতার, ইরাক ও সৌদি আরব।
গতকাল সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দোহা মনে করে সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সামিল। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে আরও সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে।
রোববার বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পরই ইসরায়েল সিরিয়াতে হামলা শুরু করে।
সৌদি আরব এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে বলেছে, ইসরায়েল ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এর ফলে সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের সুযোগকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
এ অবস্থায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে নিন্দা জানানোর দাবি করেছে। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে যে গোলান মালভূমি আরবের অধিকৃত অঞ্চল।
বাগদাদও ইসরায়েলের এ কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করে নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ইসরায়েলের এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
রোববার ইসরায়েল বাহিনী সিরিয়ার দখলে থাকা গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে বাফার জোন দখল করে নেয়। এছাড়া ওই এলাকার পাঁচটি গ্রামে বসবাস করা বাসিন্দাদের ঘরে থাককেও সতর্কতা জারি করেছে।
১৯৬৭ সালে গোলান মালভূমির অধিকাংশ অংশ ইসরায়ের দখল করে নেয় এবং ১৯৮১ সালে অবৈধভাবে ওই অঞ্চলটি তাদের ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত করে।
বাশার আল আসাদের পতনের পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার সেনাবাহিনীকে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে। যদিও গোলান মালভূমি নিয়ে সিরিয়ার সঙ্গে ১৯৭৪ সালে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি হয়।
গতকাল সোমবার নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের জানান, অধিকৃত গোলান মালভূমি চিরকাল ইসরায়েলের দখলে থাকবে।