আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:০০

২ দিনের রিমান্ডে মিলন – মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলছে দলীয় নেতৃবৃন্দ।

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে হত্যাসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন  মিলনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার সকালে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে মিলনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এ প্রসঙ্গে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৪ জানুয়ারি মিলনকে আদালতে হাজির করে সোহাগ হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন মিলনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

পূর্ব নির্ধারিত দিনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামি মিলনকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার হন যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন মিলন (৪৭)। তার নামে হত্যা, বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদ হোসেন মিলন।

এই মামলায় গ্রেফতার তার গাড়ির চালক মো. লিটন গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছেন,  মিলনের নেতৃত্বে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি জানান, তিনি গাড়ি চালিয়ে  মিলন, কাজল, তাইজুল ও সাগরের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান। আর মোটরসাইকেলে আকাশ ও আলামিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে গাড়ির মধ্যেই টাক মিলন বসেছিলেন। তার সামনেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন : মিলন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার

এদিকে সোহাগ হত্যা মামলায় জাহিদ হোসেন মিলনের নামযুক্ত করার বিষয়টি রাজনৈতিক নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন জেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের দাবি স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির ইন্ধনে জাহিদ হোসেন মিলনকে কারারুদ্ধ করে রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ চরিতার্থ করছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে এ ব্যাপারে সতর্কতার সাথে দেখভাল করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও অনলাইন) একটু বেশি উৎসাহ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে এক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বলেন বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকা গুলো মিলনকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারা চালাচ্ছে তাঁদেরকেও সচেতনতার সাথে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যম যদি জনগণের মুখপাত্র না হয়ে ব্যক্তি বা ক্ষমতার পক্ষপাতিত্ব করে তবে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শহরের কাজীপাড়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে যুবলীগকর্মী সোহাগকে খুন করে দুর্বৃত্তরা এবং ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় সোহাগ হত্যার আসামি তাইজুল (৩৫)। নিহত তাইজুলের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত