আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৪:৩৩

২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ২০২২ সালে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করবে সেই ঘোষণা আমি দিচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় যদি আজকেই এই ঘোষণাটা দিতে পারে, তাহলে দেশের মানুষের খুবই উপকার হবে।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধনকালে এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি, ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘একইভাবে কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এরমধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ২শ’টি, ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার দুটি, দাখিল মাদ্রাসা ২৬৪টি, আলিম মাদ্রাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৬টি, ও কামিল মাদ্রাসা ১১টি।’
তিনি বলেন তাছাড়া আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে কলেজ আর একটি করে স্কুল ইতিমধ্যেই সরকারিকরন করে ফেলেছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাকে সব সময় গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে একটা জাতি যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে সেই জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে গেছেন শিক্ষায় অর্থ খরচ হচ্ছে বিনিয়োগ, তাই এটাকে আমরা খরচ হিসেবে দেখি না। যে কারনে আমরা সব সময় ব্যবস্থা নেই।
আজকে আমি আপনাদের একটা ভালো খবর দিতে চাচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারিকরন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আবারো আমরা আরো প্রায় ৩৬ হাজার স্কুল সরকারিকরন করে দিয়েছি। তা ছাড়া আমরা এমপিওভুক্ত করে দিচ্ছি। সব সরকারিকরন না করেও সেখানকার শিক্ষক কর্মচারীরা যেন সরকারের কাছ থেকে বেতন পান, সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, সেটাই এমপিও ভুক্ত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ২৬ হাজার ৪৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করেছি। ২০১৯ সালে আমাদের সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ১ হাজার ৬৫১টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৯৮৮টি অর্থাৎ সর্বমোট ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা এমপিও ভুক্ত করেছিলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

 

আরো সংবাদ