আজ - শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৯:৫১

​এবার এমপি নাবিলকে লালকার্ড দেখালো যশোরের  শ্রমিক জনতা! 

নাঈম সাব্বির,(বিশেষ প্রতিনিধি, পলিটিক্যাল)

২৩ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা শ্রমিকলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আবারও যশোর সদর ৩ এর সাংসদ কাজী নাবিল আহম্মেদকে  আবার লালকার্ড দেখালো শ্রমিক লীগের কর্মী সমর্থকরা।
সর্বপ্রথম যশোর জেলা যুবলীগের কমিটি নিজ দলের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী দের দিয়ে গঠন করতে গিয়ে অবাঞ্চিত হন তিনি। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূল বুঝিয়ে জেলা পুলিশের কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও বিএনপিনেতা ম্যানসেল কে শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৯০দিন মেয়াদি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসেন, পরবর্তীতে দূর্বার আন্দোলন শুরুহয় গোটা শহর জুড়ে। বিতর্কিত লোকদের ক্ষমতা প্রদানের জন্য কেন্দ্রে ব্যাপক লাঞ্ছিত হন নাবিল আহম্মেদ। আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। সে কারনে জেলা যুবলীগ প্রথমবার লালকার্ড দেখিয়েছিল এমপি নাবিল আহম্মেদ কে।
তারপর ফের মরিয়া হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের জেলা কমিটি নিয়ে। সেখানে বয়স উত্তীর্ণ, বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠনের পায়তারা চালান এমপি নাবিল অবশেষে তার সব পরিকল্পনা ভেস্তেযায়। সেবার পাইকারী হারে লালকার্ড পান এমপি নাবিল। তারপরও থেমে থাকেননি তিনি, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান (নির্বাচিত) সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী কে সরাতে বিবাহিত আখ্যা দিয়ে ভূয়া কাবিননামা পাঠান কেন্দ্রীয় কমিটিতে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটি তদন্ত পূর্বক অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে রওশন ইকবাল শাহী কে সভাপতি পদে বহাল রেখে অভিযোগ কারীকে সংযত হওয়ার জন্য বলেন।

আওয়ামীলিগের অন্যতম শক্তিশালি সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ায় এবার শ্রমীকলীগও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করলো।

প্রসঙ্গত সবগুলো সংগঠন কর্তৃক অবাঞ্চিত হবার পর কি বলছে মূল দলের কর্মী সমর্থকরা? তিনি কি আগামি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়োন পাচ্ছেন?  যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার একটি চায়ের দোকানে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে বজ্রকণ্ঠে উত্তর আসে  “তাকে আমরা চেয়ে আনিনি-চাইও না ” দলের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে  অনেক কথায় বলতে পারছিনা এমন অভিমত স্থানীয়দের। এ সময় এ প্রতিবেদক নাবিল আহম্মেদের পক্ষে কথা বলতে শুরু করলে দোকান থেকে তার চা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয় এবং হুশিয়ারি প্রদান করা হয় “শাহিন ভাইয়ের” (শাহিন চাকলাদার) বিকল্প কেউ নাই, বাজে কথা বললে আমরা সহ্য করবোনা। পরে সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর তারা তাদের নীতিগত দিক ঠিক রেখেই অতিথি সুলভ আচরন করেন।

আরো সংবাদ