আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। করোনা মহামারির মধ্যেই ভারতের অন্তত ৭ রাজ্যে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। গেলো ২৬ বছরের মধ্যে এবারের আক্রমণ সবচেয়ে তীব্র বলে মন্তব্য করেছেন কিটতত্ত্ববিদরা। ঠেকাতে না পারলে ভারতের শস্যভাণ্ডরে সংকট দেখা দেবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে জাতিসংঘ।
এরমধ্যেই, ব্রিটেন থেকে নিধনযন্ত্র আনছে দেশটির সরকার। পূর্ব আফ্রিকা, পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞের পর ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানায় তাণ্ডব শুরু করেছে শস্যখেকো পঙ্গপাল। ফসলি জমিতে আক্রমণের পাশাপাশি ঢুকে পড়ছে বাসাবাড়িতে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
একজন বলেন, ফসল নষ্ট করছে। গাছের পাতা খেয়ে ফেলছে। মানুষের খাবার, পশুর খাবার সব ধ্বংস করে দিচ্ছে।
গেলো মাসে পাকিস্তান থেকে রাজস্থানে প্রবেশ করে পতঙ্গের দল। ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন রাজ্যে। দ্বিতীয় দফায় ছড়িয়েছে জয়পুরে। পঙ্গপাল নিধনে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক। ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।
মানোজ পুষ্প বলেন, ৫ কিলোমিটার লম্বা এবং দেড় কিলোমিটার চওড়া পঙ্গপালটি। ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুলিশ, প্রশাসনের প্রতিনিধি, পতঙ্গবিজ্ঞানী এবং কৃষিবিজ্ঞানীরা যৌথভাবে বৈঠক করেছেন। পঙ্গপাল ছড়িয়ে পড়া ৬০ শতাংশ এলাকায় কীটনাশক ছিটানো হয়েছে।
অত্যাধিক বৃষ্টিপাত, ভারত মহাসাগরে ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পঙ্গপালের তাণ্ডব বাড়ছে বলে ধারণা। পতঙ্গের একটি পাল দিনে ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে। এক কিলোমিটার লম্বা একটি পাল দিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাদ্য গ্রহণ করে। তিন মাসে একটি পাল সংখ্যায় বাড়ে ২০ গুণ।