মুনতাসির মামুন।। প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং নদীর উপচে পড়া পানিতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে অর্ধশত গ্রাম। নদীর প্রবল জোয়ারের কারনে ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ক্লোজারগুলো মেরামত করা সম্ভব না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে উপকূলবাসী। তাদের এখন একটাই দাবি ত্রাণ চাইনা চাই দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই স্থায়ী বেঁড়িবাঁধ।
হঠাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া ক্লোজার ও খোলপেটুয়া নদীর হাজরাখালী এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের লেবুবুনিয়া বাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয় গাবুরা, লেবুবুনিয়া ও আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, হাজরাখালি, প্রতাপনগরসহ ৮থেকে ১০টি গ্রাম। বাঁধ মেরামত না হওয়ায় জোয়ারের পানিতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আশাশুনির সদর ইউনিয়নের কমলাপুর, তাশেরহাটি, দক্ষিণ-গাইয়াখালি ও ঠাকুরাবাদ। এছাড়া গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে আছে সাতক্ষীরা সদর,তালা,কলারোয়াসহ সাতক্ষীরা জেলার নিন্মাঞ্চল। এতে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী জানান, আম্পানের পর থেকে শ্যামনগর ও আ্শাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতক্ষ নদের বাঁধ গুলো মেরামত না হওয়ায় গত তিন মাস ধরে প্রতাপনগরের ১৭টি গ্রাম ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম সহ দুটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে আছে। পানিতে তলিয়ে আছে বসতবাড়ী ও ফষলি জমি। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল মানুষকে প্রতিনিয়ত নদীর জোয়ার-ভাটার সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে। এই মুহূর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধগুলো সংস্কার করে টেকসই দীর্ঘ মেয়াদি স্থায়ী বাঁধ তৈরি না করতে পারলে এলাকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।