নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ, শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন ৩৭ জনের মধ্যে শিশু ও মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ এ পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছেন। দগ্ধ বাকি ২৩ জনের অবস্থাও আশংকাজনক।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি আরও জানান, বাকিরাও রয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
যারা মারা গেছেন তারা হলেন: মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার (৪৮), জুয়েল (৭), জামাল (৪০), সাব্বির (১৮), জুবায়ের (১৮), হুমায়ুন কবির (৭০), কুদ্দুস বেপারী (৭০), ইব্রাহিম (৪২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), জুনায়েত (২৮), রাসেল (৩০), জয়নাল, মাইনউদ্দিন (১২)।
এদিকে, হাসপাতালে দগদ্ধদের দেখতে এসে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সব কিছুই তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদের কাছের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে এসির বিস্ফোরণও ঘটে। মুহূর্তে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়। আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা দগ্ধ হতে থাকেন।
দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম মালেক আনসারী (৬৫) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ফটো সাংবাদিক নাদিম হোসেনসহ (৪২) ৩৭ জন। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে তিতাসের গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতি বিস্ফোরণের ঘটেছে বলে দাবি করছে স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকদিন ধরেই এই মসজিদের নিচে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হবার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোন পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।