আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:২৩

ঈদের জামাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল আযহা নামাজের জামাত আদায়ের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে, ঈদের নামাজ মসজিদ নাকি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় হবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক  জামাত কোথায় হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজেরে আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ বা ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

মসজিদ বা ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়  স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে । করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধ এর জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও এতে জানানো হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত