বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সমালোচিত বাংলাদেশি নাগরিক সেফুদার নিয়মিত যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। সেফুদা তাকে নাতনি হিসেবে সম্বোধন করতেন বলে র্যাবকে জানিয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার নাতনি হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। করতেন লেনদেনও।
এদিকে হেলেনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা। তিনি বলেছেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে (আমার) টাকা নয়, হৃদয়ের লেনদেন।’
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘র্যাব বলেছে আমি নাকি হেলেনা জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিই কিংবা সে নাকি আমাকে টাকা-পয়সা দেয়। এরকম কী কী জানি বলেছে।’
সেফাত উল্লাহ বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমার টাকা-পয়সার লেনদেন নেই। সম্পদের লেনদেন নেই। হৃদয়ের লেনদেন আছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর লাস্ট কালকেও আমাকে বলেছে, দাদা আই লাভ ইউ। আমি বলেছি লাভ ইউ টু। কারণ লাভ ইজ পাওয়ার। আপনারা জানেন ভালোবাসা আমার আদর্শ।’
তিনি বলেন, ‘আই লাভ হেলেনা জাহাঙ্গীর। হোয়াই নট, হোয়াই আই সুড নট লাভ হেলেনা জাহাঙ্গীর?’ এরপর অবশ্য তিনি বলেন, ‘হু ইজ হেলেনা জাহাঙ্গীর? আই ডোন্ট নো, আই ডোন্ট নিড টু নো।’
এরপরই তিনি আবার বলেন, ‘ আমি অনলাইনে গত প্রায় তিন বছরের কম সময় ধরে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চিনি। মানে আমাকে সে আবিষ্কার করেছে।’
সেফুদা বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের সময় চেহারায় কোনো অনুতাপ নেই (ছিল না)। অনুতাপ থাকবে কেন? তিনি কঠোর পরিশ্রমী একজন শিল্পউদ্যোক্তা। নিজের পরিশ্রমের ফসল আজ তার কোটি কোটি টাকা, অনেকগুলো শিল্প, অনেক বাড়ি-গাড়ির মালিক। তিনি সমাজের ওপর স্তরের মানুষ। টাকা-পয়সা না থাকলে তার কোনো দাম নেই।’
এর আগে গতকাল এক ভিডিওতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মুক্তি দাবি করেন সেফুদা। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দেখা হয়নি। তবে টেলিফোনে কথা হতো। হেলেনা জাহাঙ্গীর একজন স্মার্ট নারী, তিনি দুঃসাহসের সঙ্গে কথা বলতেন। অবিলম্বে এবং সম্মানের সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দিতে হবে।’