শনিবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এ তফসিল অনুমোদন দেওয়া হয়।
তফসিল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের প্রার্থীরা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৯ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। ভোট হবে ৫ জানুয়ারি।
এ ধাপের ৩৭ ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। বাকিগুলোয় ভোট নেওয়া হবে প্রচলিত ব্যালট পেপারে।
দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। নূরুল হুদার কমিশন আসছে ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচন উপযোগী সব ইউপির ভোট ধাপে ধাপে শেষ করার পরিকল্পনা করেছে।
চলতি বছরের মার্চে ইউপি ভোটের তফসিল দিয়ে ১১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা আটকে যায়।
পরে প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়।
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হবে ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১০০০ ইউপির ভোট রোববার। এরপর ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপিতে ভোট হবে ।
নারায়ণগঞ্জ নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, “আগামী সপ্তাহে কমিশনের আরেকটি মিটিং হবে। ওই বৈঠকে নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই সব নির্বাচন সম্পন্ন করার যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নারায়ণ সিটির বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির আগের তিন মাসের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে হবে ইসিকে।