আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:৩৪

৭ বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়ে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম সক্রিয়

সাত কথিত বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যুর বিষয়ে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আজ ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ জানুয়ারি সংঘটিত মর্মান্তিক ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় থাকার ফলে হাইপোথার্মিয়াজনিত কারণে সাত বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হওয়ার বিষয়ে খবর পাওয়ার পর থেকেই ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।

দূতাবাস জানায়, ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কনসালগণের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং যথোপযুক্ত করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালী-ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনার পরদিনই (২৬ জানুয়ারি) লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছায়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় র্দীঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় থাকার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাত অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়। তারা বাংলাদেশের নাগরিক বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়।

কাউন্সেলর হক ২৭ জানুয়ারি লাম্পেডুসার ডেপুটি মেয়র প্রেস্টিপিনো সালভাতোরের সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তারা র্দুঘটনার বিষয়ে ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ/করণীয় কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সাথে দূতাবাসের নিবিড় সমন্বয়ের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সেখানকার কোস্টগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করে। সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে লাশগুলো ফেরত পাঠানো/ দাফন সম্পাদনের পর্ব পর্যন্ত রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।

লাশ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় এখনো সরেজমিনে লাশগুলো দেখা সম্ভব হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দূর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধারকৃতদের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাদের সাথে কথা বলেছে। ইতালীয় সূত্রের প্রাথমিক তথ্যমতে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি যাদের মধ্যে সাত জন মারা যায় এবং অন্যরা মিশরীয় নাগরিক।

সংশ্লিষ্ট সকলকে অসাধু মানবপাচারকারী চক্র থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানানোর সাথে সাথে দূতাবাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য দূতাবাস ইতালির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বলে দূতাবাস জানায়।
সুত্র: বাসস

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত