দুর্ঘটনাকবলিত শ্রীজয়া এয়ার বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটির অনুসন্ধানের কাজ চলছে। গত শনিবার জাকার্তা থেকে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করার ৪ মিনিট পর নিখোঁজ হয়ে যায় এই বিমানটি। তবে বিমানের সন্ধান না মিললেও সাগরের এখানে-সেখানে ভেসে উঠছে দেহাবশেষ, জামাকাপড় ও লাইফ জ্যাকেটসহ নানা জিনিসপত্র। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানের কোনো আরোহীর জীবিত থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
এক বিবৃতিতে দেশটির জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো জাহজোনো বলেছেন, বিধ্বস্ত এসজে ১৮২ ফ্লাইটটির দুটি ব্ল্যাক বক্সের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করছে এবং আশা করছি খুব দ্রুত পেয়ে যাবো।
বিমানে থাকা কাউকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত না করতে পাড়ায় নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে যাত্রীদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েই চলছে। জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার কোনও আশা নেই বলে মনে করছেন অনেকেই।
জাজা যায়, লাকি দ্বীপের আশপাশের এলাকাতে দুটি সংকেত পাওয়া গেছে। একটি সংকেত বিধ্বস্ত বিমান থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের দেহবাশেষও পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বিকেল পর্যন্ত তারা পাঁচটি ব্যাগ গ্রহণ করেছে, যেগুলোতে ছিল দেহাবশেষ।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, শিশুদের গোলাপি রঙের একটি জামা, বিমানের ভাঙা চাকা ও টায়ার এবং লাইফ জ্যাকেট পাওয়া গেছে। বিমানের ৬২ আরোহীর সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ শিশু আছে।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াহিউদ্দিন আরিফ জানান, বিমানের সম্ভাব্য একটি টুকরা পাওয়া গেছে। সেটি দৈর্ঘ্যে এক মিটারের মতো।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন সুরক্ষাবিষয়ক কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো তিজাহজোনো বলেন, ‘আমরা বিমানের দুটি ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান পেয়েছি। আশা করছি, ডুবুরিরা অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।’