আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:২৬

টিকটক-পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

দেশের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশ প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুন) মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

নোটিশে বলা হয়েছে, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতো গেমসে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব গেমস যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সকল প্রকার অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধে সরকারকে বলা হয়েছে।

নোটিশকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।’

নোটিশে বলা হয়, টিকটক, লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থি। এটি শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ পরিপন্থি।

নোটিশে আরও বলা হয়, দেশের শিশুরা বিভিন্ন অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলো মনিটর করার জন্য, সময়ে সময়ে শিশুদের জন্য উপযোগী এবং যথাযথ অনলাইন গেমসগুলোকে সুপারিশ করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।

তাই একটি মনিটরিং, মূল্যায়ন এবং সুপারিশ কমিটি গঠন করার জন্য বলা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধান অনুযায়ী এসব অবাঞ্চিত ক্ষতিকর গেমস এবং অ্যাপসকে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী সাইবার পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিবাদীদের, যেটা করতে তারা ব্যর্থই হয়েছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত