স্বামী দেশে আসার খবর শুনেই পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। যাওয়ার সময় নিয়ে গেছেন প্রবাসী স্বামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার। ঘটনাটি শেরপুরের ঝিনাইগাতীর, মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীর আট বছরের জমানো নগদ ২৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে উধাও ওই গৃহবধূর নাম মোছা. শান্তনা বেগম (২৮)। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।
অভিযোগের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে ওইদিন রাতে পালিয়ে যান শান্তনা বেগম। শান্তনা বেগম উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গজারিকুড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের বড় ভাই বকুল মিয়া বাদি হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ বছর পূর্বে মিজান বিয়ে করেন ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের বাওইবাধা গ্রামের আব্দুস ছামাদের মেয়ে মোছা. শান্তনা বেগমকে। বিয়ের পর ২ সন্তানের জনক হন মিজানুর রহমান। গত ৮ বছর পূর্বে ২ বছর বয়সী মেয়ে মিতানুর ও ৬ মাস বয়সের ছেলে সম্রাটকে রেখে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান মিজানুর রহমান।
গত ৮ বছরে বিদেশ থেকে তার স্ত্রীর নামে টাকা পাঠান।
অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় মিজানুর রহমানের মামাতো ভাই মোজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে শান্তনার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে গ্রামে দেনদরবারও হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। মিজানুর রহমান বাড়িতে পৌঁছার খবর পেয়ে শান্তনা বেগম শনিবার সন্ধ্যায় মোজাহিদুল ইসলামের হাত ধরে গা ঢাকা দেয়। মিজানুর রহমান বাড়ি এসে দেখতে পান তার স্ত্রী বাড়িতে নেই। বহু খুঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে মিজানুর রহমানের বড় ভাই বকুল মিয়া বাদি হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মোজাহিদুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমার সারাজীবনের কষ্টের সঞ্চয় করা টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে শান্তনা পালিয়ে গেছে। তার বাবার বাড়িতেও খোঁজ নিয়েছি। সেখানেও সে নেই। আমার শাশুড়ি বেদনা বেগমও এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।