আজ - শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:২৭

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসি।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, এটা চলতি মৌসুমের প্রথম তাপপ্রবাহ। রোববার ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, সীতাকু- ও রাঙামাটি অঞ্চলে মৃদু এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

“আরও তিন দিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে তাপপ্রবাহের এলাকাও বাড়বে। তবে তাপপ্রবাহ তীব্র (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) রূপ পাওয়ার শঙ্কা নেই। চলতি মাসের শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টিও হতে পারে। ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে তখন।”

তিনি জানান, ফাল্গুনের শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে গরম ও ঝড়বৃষ্টির দাপট ছিল কয়েক দিন। চৈত্রে এখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গতিবেগ কম আর আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম ঝরছে; অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে।

সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

বাংলাদেশে সাধারণত চৈত্রের মাঝ সময়ে তুলনামুলক গরম বেশি থাকে; সেই সঙ্গে মার্চ-এপ্রিলে কালবৈশাখী, বজ্রপাত আর বজ্রঝড়ের প্রবণতা দেখা যায়।

ঢাকায় সর্বশেষ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল। তারও আগে ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল থার্মোমিটারের পারদ।

ওই বছর যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ওঠে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যান্ত্রিক নগরে অপরিকল্পিত বহুতল ভবন, তীব্র যানজট, অতিরিক্ত শীতাতপ-নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার, সর্বোপরি সবুজের অভাবে দিনদিন তপ্ত হয়ে উঠছে ঢাকা। তাপমাত্রা বাড়ার প্রাকৃতিক কারণের সঙ্গে সঙ্গে বিকিরিত উত্তাপ বেশি অনুভূত হয় রাজধানীতে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে (৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সামান্য বেশি হতে পারে। মাসের শেষ দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, এ মাসে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিকের (১৪৫-২০০ মিলিমিটার) চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। তবে শেষভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তখন ঝড়ো হওয়া ও কালবৈশাখী হতে পারে।

আরো সংবাদ