আজ - বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:৩৭

নারীকে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করে ভিডিও পোস্ট, পুলিশকেও চ্যা’লে’ঞ্জ!

নারীকে গলা কেটে হত্যার পর ভিডিও পোস্ট করেছেন ভারতের এক যুবক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেয়া যায় না। বাবু, স্বর্গে আমাদের আবার দেখা হবে।’ খবর এনডিটিভি

শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ড ঘিরে পুরো ভারতে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনি আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। দেশটির মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পা জারিয়া (২৫) নামে এক নারীর মরদেহ জবলপুরের মেখলা রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর পর বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিযুক্ত অভিজিৎ। পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেয়া যায় না। এর পরই কম্বলের নিচ থেকে শিল্পার নলিকাটা দেহ দেখান। তারপর বলেন, বাবু, আমাদের আবার দেখা হবে স্বর্গে।’ একইসঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন!’

অন্য একটি ভিডিওতে নিজেকে পাটনার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন অভিজিৎ। তার ব্যবসায়িক অংশীদার জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে শিল্পার প্রেমেরে সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অভিজিৎ দাবি করেন, সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জিতেন্দ্রর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিলেন শিল্পা। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তাই জবলপুরে এসে শিল্পাকে হত্যা করেছেন অভিজিৎ।

পুলিশ জানায়, অভিজিৎ জিতেন্দ্রের সহযোগী সুমিত প্যাটেলের নামও দিয়েছেন। এরই মধ্যে জিতেন্দ্র এবং সুমিতকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশের এএসপি প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানিয়েছেন, অভিজিৎ এক মাস ধরে পাটনায় জিতেন্দ্রের বাড়িতে ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবেশ বাঘেল বলেন, অভিযুক্তরা ৬ নভেম্বর মেখলা রিসোর্টে একটি রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পর দিন বিকেলে এক নারী আসেন সেখানে এবং তারা দুজনে খাবারের অর্ডার দেন। এক ঘণ্টা পর হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে অভিজিৎ বেরিয়ে যান।

৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙে শিল্পার গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এএসপি জানিয়েছেন, অভিজিতের খোঁজে চারটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের দল পাঠানো হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত