আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১২:০২

পরীমনিসহ নারীর চরিত্রহননের প্রতিবেদন-ভিডিও বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে ব্যক্তি বিশেষ করে নারীর চরিত্র সম্পর্কিত প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি প্রচার-প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি, ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিশেষ করে নারীর ব্যক্তিগত চরিত্রহনন করে ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিয়া নুহাইয়া আহমেদ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, তা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় নোটিশে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

একই সঙ্গে পরীমনি-এডিসি সাকলায়েনসহ এরই মধ্যে যাদের নিয়ে প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে তা অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমনিকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন যুক্ত করে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিয়া নুহাইয়া আহমেদ নোটিশটি পাঠান।

লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ বলেন, সব মাধ্যম থেকে চরিত্রহানিকর প্রতিবেদন/ব্যক্তিগত ছবি/ভিডিও সরিয়ে ফেলার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।

এই আইনজীবী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু ব্যক্তিকে নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। যেখানে মূলধারার গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হচ্ছে। এতে বিশেষ করে নারীদের চরিত্রটা টার্গেট করেই এটা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি পরীমনি, কলেজছাত্রী মুনিয়াসহ অনেকের ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এবং তাদের চরিত্র হরণ করার জন্যই করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করেছি।

আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যক্তির চরিত্রহনন করে বিশেষভাবে নারীর চরিত্রকে টার্গেট করে অনেক প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ হচ্ছে। পরীমনি এখন একটি মাদক মামলার আসামি। কিন্তু বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী কোভিড-১৯ এর জাল সনদ মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার যেমন খর্ব করছে তেমনি এটা নারীর ক্ষমতায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, নারীর ক্ষমতায়নকে পেছনে টেনে ধরছে। সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে এসব করা হলেও তা বন্ধে রাষ্ট্র বা সরকারের সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

এই আইনজীবী আরও বলেন, এছাড়া এসব প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি হলুদ সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করছে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ কারণে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত