আজ - মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - দুপুর ১২:৫৯

ভারতে নিষিদ্ধ হলো ৩২৮টি জনপ্রিয় ওষুধ

ডেস্ক রিপোর্ট:  বাজারে চলমান এমন ৩২৮টি জনপ্রিয় ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিষিদ্ধ ওষুধের মধ্যে আছে পিরামলের বানানো স্যারিডন, অ্যালকেম ল্যাবরেটরির ট্যাক্সিম এ-জেড এবং ম্যাকলয়েড ফার্মার প্যানডার্ম প্লাস মলম। অবিলম্বে এই ওষুধগুলোর উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন কোম্পানিকে বাজার থেকে অন্তত ছয় হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ তুলে নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার বাজারমূল্য আনুমানিক দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা।

নিষিদ্ধ হওয়া ওষুধগুলো হলো- ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) ওষুধ। অর্থাৎ, দুটি বা তিনটি ওষুধ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে যে ওষুধ তৈরি হয়। ২০১৬ সালের মার্চেই এই ধরনের ওষুধগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, দুই বা তিনটি ওষুধ মিশিয়ে এই ওষুধগুলি তৈরি হয়। তাই কোনও রোগীর একটি ওষুধ দরকার হলেও তাকে অন্য ওষুধ খেতে হয়, প্রয়োজন না থাকলেও। যা আসলে ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখোমুখি হন রোগীরা।

নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ওষুধগুলির মধ্যে আছে ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্লুকোনর্ম পিজি, অ্যান্টিবায়োটিক লুপিডিকলক্স।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওষুধ প্রস্তুতকারকরা। তৈরি হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটিও এই ধরনের ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষেই রায় দেয়। অগত্যা এই ওযুধগুলিকে বাজার থেকে তুলে নেওয়া ছাড়া আরও কোনও রাস্তা খোলা থাকল না ওযুধ প্রস্তুতকারকদের সামনে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামের সংগঠন। যাদের উদ্যোগে এই ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যদিও এই সংগঠনের দাবি, ভারতের বাজারে আরও অনেক বিপজ্জনক ওষুধ মুড়িমুড়কির মতো পাওয়া যায়, এই ৩২৮টি ওষুধ আসলে তার অল্প সংখ্যক মাত্র।

আরো সংবাদ