আজ - বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:১০

ভূমিকম্পের ১২ দিন পর মিলল ফুটবলারের ম’র’দে’হ

কাশিমপাশার বিপক্ষে শেষ মিনিটে দলকে জেতানো গোলটিই ক্যারিয়ারের শেষ গোল হয়ে থাকল হাতায়স্পোরের ঘানাইয়ান ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান আতসুর। এর পরদিন অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের এ সাবেক এই তারকা। ভূমকম্পের ১২ দিন পর শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার মরদেহ।

প্রিমিয়ার লিগের দল চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ান আতসুকে অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দক্ষিণ তুরস্কের হাতায় নগরীতে বাসভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শনিবার সকালে এই ফুটবলারের মরদেহ উদ্ধারের খবরটি নিশ্চিত করেন তার মুখপাত্র মুরাত উজনুমেহমেত।

তিনি বলেন, ‘আতসুর প্রাণহীন দেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া গেছে। এ মুহূর্তে সেখান থেকে আরও অনেককিছু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গেছে।’

 

এর আগে শুক্রবার জানা গিয়েছিল নতুন তথ্য। ভূমিকম্পের আগে আতসু তুরস্ক ছেড়ে পরিবারের কাছে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত পরিকল্পনা বদলে প্লেনের টিকেট বাতিল করেন এবং হাতায়স্পোরের হয়ে মাঠে নেমে শেষ মিনিটের গোলে দলকে জয় এনে দেন।

ভূমিকম্পের দিনদুয়েক পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম আ বোলা আতসুকে জীবিত উদ্ধারের খবর জানিয়েছিল। কিন্তু তার এজেন্ট নানা সেচের এবং ক্লাব হাতাইস্পোরের কোচ ভলকান ডেমিরেল সে খবর প্রত্যাখ্যান করেন। তারা জানান, আতসুর জীবিত উদ্ধার হওয়ার খবরটা সত্যি নয়।

আতসুর এজেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘যদিও ক্রিস্টিয়ানকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছিল তার ক্লাব, তবে আমরা এখনো তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি।’

২০১৩ সালে পোর্তো থেকে চেলসিতে যোগ দেন আতসু। এরপর অবশ্য ধারে এভারটন ও বোর্নমাউথে খেলেন তিনি। ২০১৭ সালে স্থায়ীভাবে নিউক্যাসলে যোগ দিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত ম্যাগপাইদের হয়ে মাঠ মাতান আতসু। ২০২১ সালে সৌদি লিগের দল আল রিয়াদে যোগ দেয়া আতসু গত গ্রীষ্মে পাড়ি দেন তুরস্কের লিগের দল হাতাইস্পোরে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত