আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৮:০২

মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ।

যশোরের জাল ওয়ারেশ কায়েম সনদ প্রদান করে আদালতের কাছে ধরা পড়েছেন যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রহিমা বেগম। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এরআগে এ ঘটনায় একই বিচারক ওই নারী মেম্বরকে আদালতে তলব করেন। একই সাথে চেয়ারম্যানকেও রেজিস্ট্রার নিয়ে হাজির হতে বলা হয়। শুধুই তাই নয়, ওই নারী মেম্বারের বিরুদ্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৩ এপ্রিল নাম ঘোষণা সংক্রান্ত এফিডেফিটের জন্য যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়ার মৃত চান্দা আলীর স্ত্রী আয়শা বেগমের বর্ণনায় একটি ওয়ারিশ কায়েম সনদপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। ওই সনদ দেখে আদালতের সন্দেহ হয়। এছাড়া সেই সনদে ছিলো না চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর, স্বারক নাম্বার, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কোড। এছাড়া তারিখও উল্লেখ ছিলো না। ওয়ারেশগণদের কম্পিউটার কম্পোজের পরিবর্তে ছিলো হাতে লেখা। আদালত তাৎক্ষনিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন ও মেম্বর রহিমা বেগমকে তলব করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার মধ্যে স্বশরীরে ওয়ারেশ কায়েম রেজিস্টার ও স্মারক রেজিস্টার নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার যথা সময়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বর আদালতে হাজির হন। ওপেন কোর্টে এসময় বিচারক মেম্বরকে জিজ্ঞাসা করেন ওই সনদে ওয়ারিশদের নামগুলো কে লিখেছেন। প্রতি উত্তরে মেম্বার জানায় তিনি নিজেই লিখেছেন। এরপর বিচারক একটি সাদা কাগজ দিয়ে একই নাম আবার লিখতে বলেন। পরে ওই নারী মেম্বার জানায় তিনি লিখতে পারেন না শুধুই স্বাক্ষর করতে জানেন। এক পর্যায় তিনি স্বীকার করেন নিয়মবহির্ভূতভাবে গোপনে তিনি ওই ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট তৈরি করেছেন। পরে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ওয়ারেশ কায়েম রেজিস্টার ও স্মারক রেজিস্টার আদালতে উপস্থাপন করলে দেখা যায় ওই ওয়ারেশ কায়েম সনদটি জাল। রেজিস্টারের কোথাও নেই। যা চেয়ারম্যান নিজেও জানেন না। ওপেন আদালতেই বিচারক মৌখিকভাবে চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সাথে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সে বিষয়টিও অবহিত করার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন সার্বিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত পরিষদের পক্ষ থেকে সভা করে আদালতে নির্দেশনা পালন করা হবে।

আরো সংবাদ