আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১০:৪২

যশোর পৌরসভার দুই ওয়ার্ডে কঠোর বিধিনিষেধ জারি

যশোর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। শনিবার (০৫ জুন) রাতে অনুষ্ঠিত জেলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাত ৯টার দিকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তমিজুল ইসলাম খান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।

তিনি বলেন, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় যশোর পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে এই দুই ওয়ার্ডের লোকজন ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করছে। রবিবার থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। পুলিশ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৩৩ জন। সেক্ষেত্রে ৩ নম্বর ওয়ার্ডকে আট পয়েন্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই পয়েন্ট দিয়ে জনসাধারণ জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারবেন। অপরদিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ পয়েন্টের মধ্যে সাত পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। বাকি পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এটি লকডাউন কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এটিকে লকডাউন বলছি না। সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই।

তিনি বলেন, যশোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ জন। ওয়ার্ড দুটিকে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। যশোর ছাড়াও অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে যথাক্রমে ১৮ ও ১১ জন। উপজেলা প্রশাসন ওই দুটি ওয়ার্ডে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ঝিকরগাছা উপজেলার ৪ নম্বর গদখালী ইউনিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ১১ জন। সেখানে আক্রান্তদের বাড়ি চিহ্নিত করে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় রাখা হবে।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

আরো সংবাদ