যশোরে করোনা শনাক্তের হার এখনও উর্ধ্বমুখি। শনাক্তের হার ছিল ২৭ শতাংশ। গত ২৪ঘন্টায় আরো একজন মারা গেছেন। যশোর সিভিল সার্জন দপ্তর এটি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার ১৩ জুন শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, চিকিৎসা নিশ্চিত ও করোনা নিয়ন্ত্রন করতে সবধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪১জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৪জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মে মাসের তুলনায় জুন মাসে শনাক্তের হার অনেক বেশি। যা সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগে ফেলেছে। বিশেষ করে কয়েকদিন ধরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। মাত্রা ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে দ্বিগুন রোগী ভর্তি রয়েছে।
এদিকে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটও পূর্ণ হওয়ার পথে। ৮০ শয্যার এ ওয়ার্ডে বর্তমানে ৬৩জন ভর্তি রয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩জন। এর মধ্যে একজজন করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে এবং অপর দুইজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান।
করোনার উর্ধ্বগতির কারণে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় লকডাউন চললেও মানুষের চলাচল পূর্বের মতই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না ঠিকমত। ফলে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান স্থানীয়দের।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, সংক্রামন প্রতিরোধে সবধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যকমও জোরদার করা হয়েছে। রোগীর একটু চাপ থাকলেও তা সামাল দিতে সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।