আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:৩৪

যশোরে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু

যশোর প্রতিনিধি: যশোরের দিন দিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুও হার বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে । মৃতরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ৫৫ বছর বয়সী আঞ্জুয়ারা বেগম, শার্শার মাটিপুকুর গ্রামের সাগর বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন(৩৬), বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত ঠাকুর(৭০), কেশবপুর উপজেলার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন(৩৫), মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পারখাজুরা গ্রামের বাসিন্দা সাজেদা খাতুন(৫০), যশোর শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ইসহাক আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৬৫), শার্শার কায়বা ইউনিয়নের ইমান আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান(৭৫), কাশিয়ানী গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম(৪০)।

যশোর সদর হাসপাতালে আরএমও ডাঃ আরিফ আহমেদ জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে আঞ্জুয়ারা বেগম গত ১০ জুন ও আলমগীর হোসেন ২ জুন হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার তাদের মৃত্যু হয়। গত ১৩ জুন রাতে মরিয়ম এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল সোমবার মনোয়ারা বেগম ইয়েলোজোনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তারা মারা যান। এছাড়া পুরুষ ইয়েলোজোনে রবিবার রাতে ভর্তি হন আতিয়ার রহমান, সোমবার তিনি মারা যান। অপরদিকে রবিবার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে বাঘাড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রশান্ত ঠাকুরের করোনা পজিটিভ হয়। পরের দিন সোমবার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কেশবপুরে করোনায় আক্রান্ত আলমগীর হোসেন গত ২ দিন আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার নমুনা পরীক্ষা করান,সেখানে তার করোনা পজিটিভ আসে। নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  যশোর মনিরামপুরের সাজেদা খাতুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সভিলি র্সাজন শখে আবু শাহীন জানান, ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ভারত ফেরত চারজন সহ ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।

বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ রয়েছে। করোনা রোগী বাড়লেও তাদের বেড পর্যাপ্ত পরিমানে আছে এবং তারা সকল রকম সেবা দিতে সক্ষম বলে জানান যশোর ২৫০শ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

এদিকে সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভা ২ টিতে লকডাউন থাকলেও সেটি ঢিলেঢালাভাবে পালন হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউন কার্যকর করতে তাদের সকল বিভাগ একযোগে কাজ করছে।

যশোর জেলাকে কঠোর লকডাউনের আওতায় না আনলে এখানকার করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে আশংকা করছে যশোর বাসী। 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত