যশোরে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নামে দুই যুবকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আকিদুল হক নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাবর আলী বাদী হয়ে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদক দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আকিদুল হক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাট (বারবাজার) গ্রামের বাসিন্দা।
বাদী বাবর আলী মামলায় উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত আকিদুল হক তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক রয়েছে। আকিদুল হক দুই ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন বলে বাদীকে জানান। এজন্য তিনি ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন। ফলে বাবর আলী তার ছেলে সবুজ ও প্রতিবেশী আশিককে চাকরি দেয়ার জন্য আকিদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
এ সময় আকিদুল হক জানান, প্রথমে তাকে অর্ধেক অর্থাৎ ৮ লাখ টাকা এবং চাকরি হলে বাকি ৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় আকিদুল হককে মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করেন বাবর আলী। শর্ত ছিলো যে, অর্ধেক টাকা গ্রহণের পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে আকিদুল হক উল্লিখিত দু’জনকে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পাইয়ে দিবেন। তাদেরকে চাকরি পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন আকিদুল হক। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও সবুজ ও আশিককে চাকরি পাইয়ে দিতে পারেননি তিনি। এভাবে আকিদুল হক তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহনা করে আসছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় অভিযুক্ত আকিদুল হককে ডেকে চাকরির জন্য দেয়া ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত চান বাবর আলী। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে বাবর আলী আদালতে এই মামলা করেছেন। বিচারক তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।