আজ - বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:১৫

যশোরে পেয়াজের দাম কেজিতে ২০/৩০ টাকা বাড়ছে।

যশোরের বাজারে গত তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সরবরাহ কম ও আমদানি স্বল্পতার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস বাড়ছে স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের। দাম সহনশীল রাখার দাবি জানান ক্রেতারা। সংসারে প্রতিদিন রান্নার কাজে পেঁয়াজের ব্যবহার করতে হয়। এ কারণে বেশি দামেই পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হন তারা।

শহরের বড় বাজারে গত তিন দিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কিছুটা কম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অথচ এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ না আসা ও সাতক্ষীরার ভোমরায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বাচন থাকায় আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ থাকায় বেড়েছে দাম।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আতাউর রহমান ও রাকিব হোসেন জানান, মোকামে বাড়ছে দাম। ফলে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। বাজারে সবার কাছে পেঁয়াজ নেই। আড়তদারদের কোনও কারসাজি আছে কি না বলতে পারছি না। হঠাৎ পেঁয়াজ সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে দামও বেড়ে গেছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যাবসায়ীরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনেকদিন ধরে ভারত থেকে কোনও পেঁয়াজের চালান আমদানি হচ্ছে না। এ পথে গাড়ি ভাড়াসহ অন্য খরচ বেশি পড়ায় অন্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।

আরো সংবাদ