নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনী মাঠে ইমেজ নষ্ট করতে বারবার মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
গতকাল সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার মালঞ্চী মধ্যপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন আরবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চী ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রাজিবুল হাসান শিমুল। সংবাদ সম্মেলন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্য রাজিবুল হাসান শিমুল বলেন, গত ৭ নভেম্বর গ্রামে মালঞ্চী নওয়াব আলীর পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নওয়াব আলী তার ভাতিজা রিপন ও ভাগনে আজগর ও আক্তার এবং তার ছেলে রয়েলকে কুপিয়ে জখম করন।
ঘটনার ঘটনার পর মেম্বার প্রার্থী শিমুল ও এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর কিছুদিন পর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজগর আলী বাদী হয়ে নওয়াব আলীর নামে মামলা করেন।
পরবর্তীতে এই ঘটনাটি ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার মামুনুর রশিদ, উজ্জল হোসেন এবং আব্দুর রহমান চুন্নুরা নওয়াব আলীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে এ ঘটনাটি রাজনীতিখাতে প্রভাবিত করে।
বর্তমান মেম্বার মামুনুর রশিদের ইন্ধনে নওয়াব আলী তার স্ত্রী দিয়ে রাজিবুল হাসান শিমুলের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমানে এই মামলা থেকে শিমুল আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মূলত আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র করেছে বর্তমান মেম্বার মামুনুর রশিদ। শুধু ঐ মামলা দিয়ে খ্যান্ত হননি তারা আবার চলতি মাসের গত ১২ ডিসেম্বর আমার নামে ধর্ষণ টেষ্টার আসামী করে মামলা করেছেন।
এই সব মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট। আমাকে রাজনীতিভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা একেক পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা সাজানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আজগর গাজী, সহ সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, প্রচার সম্পাদক ইউসুফ আলী, সদস্য ইয়ানুর রহমান, ওয়ার্ড যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কবির হোসেন।