যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন তিনজন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় চলতি মাসে (জুন) যশোরে করোনা শনাক্তের হার অনেক বেশি। সেইসঙ্গে মৃত্যুও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ শতাংশ। এছাড়া মারা যাওয়াদের মধ্যে দুইজন করোনা রোগী এবং অপরজন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জন মারা গেছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর চাপ বেড়েছে। বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯৯ জন ভর্তি আছেন। রোগী বাড়লেও হাসপাতালটি সেবা দিতে সক্ষম।
এদিকে, ১০ জুন থেকে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় লকডাউন চললেও জেলার সড়ক ও হাটবাজারগুলোতে অবাধে চলাচল করছে মানুষ।
এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, জেলা, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করছেন। যাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। নইলে এই ঊর্ধ্বগতি রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।