সুনির্দিষ্ট লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপ থেকে রবিবার (৮ মে) বিকেল নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত সুনির্দিষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ধারণা করছে, এটি ঘূর্ণিঝড় আসানিতে রূপ নেয়ার পর উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
শনিবার (৭ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এখন পর্যন্ত এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপেই আছে। লঘুচাপটি এখন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের আশপাশেই অবস্থান করছে এবং সেখানে অবস্থান করেই আরো ঘণীভূত হচ্ছে। এখনো বঙ্গোপসাগরে আসেনি। বিষয়টি সার্বক্ষণিক আমাদের নজরদারিতে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের দেয়া সব তথ্যগুলোই ধারণা। এটা আমরা নিবিড়ভাবে মনিটরিং করছি। নতুন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলেই আমরা আপডেট জানাতে পারব। ধারণা থেকে কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে আগামী ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত।
ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণ করা হচ্ছে, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে যেতে পারে। এর মানে বাংলাদেশের নিকটবর্তী অঞ্চল দিয়ে যাবে। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে। যেহেতু এটি সাইক্লোন হবে, সেহেতু এর নিয়ম হচ্ছে এটা যেখানেই আঘাত করুক না কেন, তার ডানপাশের এলাকায় প্রভাব বেশি পড়বে। সেই হিসেবে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের ডান পাশে বাংলাদেশ। এটা একটা বড় বিষয়। তারপরও এর গতি ও দিক পরিবর্তন হতে পারে। এজন্য এখনই সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
লঘুচাপটির এখনো সুনির্দিষ্ট সেন্টার তৈরি হয়নি উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ আরো বলেন, সুনির্দিষ্ট সেন্টার তৈরি হলে আমরা সমুদ্র বন্দরগুলোতে বার্তা দিতে পারবো। সেন্টারটা নির্ধারণ হলেই কোন বন্দর থেকে কত কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে, সেটি পরিষ্কারভাবে বলতে পারব। তবে আমরা সমুদ্র বন্দরগুলোকে প্রাথমিক সতর্ক বার্তা দিয়ে দিয়েছি।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাসে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় বৃষ্টি ও বর্জ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।