রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী ও বনানী থানা এলাকায় আজ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত এবং এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীসহ অপর দু’জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সামান্তা আক্তার ওরফে জ্যোতি (২০) ও কাজী আমিনুল হক (২৫)। আহতরা হলেন, একই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নিলয় এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুমন মিয়া (৩৫)। তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সামান্ত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নুরুল আলমের মেয়ে। এছাড়া কাজী আমিনুল মহাখালী স্কুল রোডের কাজী আলিমুল হকের পুত্র। নিহত সামান্তা মিরপর-২, এ অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া দুই জন মারা যাবার বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে মিরপুরের শাহ আলী থানার মারাদাসা বনানী থানার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর সামনে এ সব পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দেড় টার দিকে মিরপুরের শাহ আলী থানার মারাদাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামান্তার বন্ধু নিলয়ের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইউনিভার্সিটির পিকনিক শেষে বন্ধু নিলয় তার মোটরসাইকেলে করে তাকে মিরপুরের বাসায় পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুঘর্টনা ঘটে। ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে, বনানী থানা থানার (উপ-পরিদর্শক) সাইফুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বনানী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর সামনে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী কাজী আমিনুল হক (২৫) ও সুমন মিয়া (৩৫) আহত হন। তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার পর আমিনুল হককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।