আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৭:০৯

সাতছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে রকেট লঞ্চারের ১৮ টি গোলা উদ্ধার

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী সাতছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে আবারও রকেট লঞ্চারের গোলা উদ্ধার করা হয়েছে। সাতছড়ি বন থেকে এবার অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবির ৫৫ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক সামীউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আজ বুধবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতছড়িতে প্রেস ব্রিফিং করেন ৫৫-বিজিবির অধিনায়ক সামীউন্নবী চৌধুরী।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সাতছড়ির গহীনের রিজার্ভ ফরেস্টে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ করেছে বা করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন যাবত ঐ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকাল ৪টায় হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্টে একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাটির নিচে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো প্লাস্টিকের কভারে মোড়ানো অবস্থায় রকেট লঞ্চারের ১৮টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযান চলমান রয়েছে। যদি আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তীতে জানানো হবে।

২০০৩ সালে ২৭ জুন বগুড়ার কাহালুতে আনারসভর্তি ট্রাকে (নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৩৬৬) যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধরা পড়েছিল, এ অস্ত্রের চালানটি সাতছড়ি থেকে গিয়েছিল। সে সময়ে ওই গাড়ির চালক বাহুবলের আলতু মিয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনার সঙ্গে সাতছড়ি টিপরা বস্তির হেডম্যান যোগেশ দেব বর্মার ভাতিজা আশীষ দেব বর্মা জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে চার্জশিট হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে থেকে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অরণ্যে ছয় দফা অভিযান করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র‌্যাব। অভিযানগুলোতে তারা ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৯টি মেশিনগান, আটটি ম্যাগজিন, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, নয়টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট, ২৫০ গুলি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট, উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও, এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড গুলি, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ড ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট, ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট ও ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত