আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:৪৩

আওয়ামী লীগ নেতার রগ কেটে দিল দুর্বৃত্ত

ঝালকাঠি পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাম্ভব্য কাউন্সিল প্রার্থী আজাদ রহমানের (৫০) পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে পিটিয়ে এক হাত ও দুই পা ভেঙে দেয় তারা। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরের আরদ্দারপট্টির হরিসভা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আহতর স্বজনরা জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে আজাদ রহমান মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন।আরদ্দারপট্টির হরিসভা মোড়ে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেল থামিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। দুর্বৃত্তরা তার বাম হাত ও দুই পা পিটিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় কুপিয়ে তার ডান পায়ের রগ কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আজাদ রহমান পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন ঝালকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষরা তার ওপর এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আজাদের পরিবার।

আহত আজাদ রহমানের ভাই মো. সালেক রহমান বলেন, আমার ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিপক্ষরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাকে নানা ধরণের হুমকিও দিয়ে আসছিল। এর পরেও আমার ভাই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাই রাতে পালবাড়ির বাসায় ফেরার সময় প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। স্থানীয়রা ছুটে আসায় ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাঁর দুটি পা ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে। এক পায়ের রগ কেটে দেয় হামলাকারীরা। মাথায়ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আহত আজাদ রহমানের মৌখিক অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত