আজ - মঙ্গলবার, ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৬:১০

‘আমগোর টাকা নাই, পড়াশোনা করতে পারি না’

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকাল তিনটা। মুঠোয় ধরে বেলুনের স্টিক বিক্রি করছে দশ বছর বয়সী সুমাইয়া ইসলাম সুমু।

কখনো শিশুদের দেখে তার কাছে ছুটে চলছে, আবার কখনো ছুটছে সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসা অভিভাবকের দিকে।

সাভারের নবীনগর এলাকায় সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন বছর ধরে ঘুরে ঘুরে বেলুন বিক্রি করে সে। প্রতিটা বেলুন বিক্রি হয় ১০ টাকায়। 

আগে প্রতিদিনই স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের ভিড় হতো। তখন বিক্রিও বেশি ছিল বলে জানায় ও। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য স্মৃতিসৌধ বন্ধ থাকায় আগের মতো বিক্রি নেই। তাই স্মৃতিসৌধ গেটে বসেই শিশুদের অপেক্ষায় কেটে যায় বেশিরভাগ সময়।

সুমু হ্যালোকে বলে, “প্রতিদিন দুইশ থেকে তিনশর মতো বিক্রি হয়। মাকে দেই।”

দরিদ্র পরিবারে জন্ম সমুর। তাই আর্থিক টানাপোড়েনে হয়নি লেখাপড়ার সুযোগ। পরিবারকে সাহায্য করতেই তার কাজ করা।

সমু বলে,“আমগোর টাকা নাই, পড়াশোনা করতে পারি নাই। কাম করি। যে টাকা আয় হয় তাই দিয়েই চলি।”

পরিবারকে নিয়ে নবীনগরের কুরগাঁও এলাকায় থাকে সে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত