আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:১৯

ইবিতে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলিস্থলে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মকর্তাদের দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলির পুষ্পমাল্য ভেঙে পায়ে মাড়ানোরও অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসের মুক্ত বাংলা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা ঘটনার পরপরই নিজেদের ভুল স্বীকার করে সাংবাদিকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ নিয়ে কর্মকর্তাদের দুটি পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এসময় তাদের হাতে বাঁশ ও লাঠি দেখা যায়।

কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা একপর্যায়ে কর্মকর্তা এসোসিয়েশনের সদস্যের ধাওয়া করে প্রধান ফটক পার করে দিয়ে আসেন। এসময় ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেন।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ একে একে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে সকাল পৌনে ১১টার দিকে কর্মকর্তা সমিতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন গড়া অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা ফুল দিতে গেলে কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা বাধা দেন।

কর্মকর্তা সমিতির অভিযোগ অফিসার্স ইউনিটির কর্মকর্তারা জুতা নিয়ে বেদিতে ফুল দেন। এসময় তারা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে কর্মকর্তা সমিতির ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে অফিসার্স ইউনিটের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমার ২২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে কখনো এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। এ ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত।’

এদিকে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কমকর্তাদের এমন মারামারি ও পুষ্পমাল্য ভেঙে পায়ে মাড়ানোর ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন, ছাত্রসংগঠন এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ঘটনাটিকে ইবির ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব হয়েছেন সাবেক-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত