যশোরে আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে ঈদগাহ মাঠে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুই দিনে ১০ হাজার জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত লোক এলেও টিকা দেয়ার প্রস্তুতি ব্যবস্থা থাকবে। যশোরের স্থায়ী বাসিন্দাদের জাতীয়পত্র দেখে টিকা দেয়া হবে। কোনো নিবন্ধন ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের দরকার হবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- যশোরের বাসিন্দা যারা পূর্বে টিকা নেননি, তারা গণটিকা কেন্দ্র থেকে সহজেই টিকা নিতে পারবেন। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আবশ্যক থাকছে না। শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই টিকা নেয়া যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিলের নাগরিক সনদপত্র দেখালেই টিকা পাওয়া যাবে। মানুষের আগ্রহ বাড়াতে গণটিকা কার্যক্রম সহজ করে দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য যশোরে শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। সবাই যেনো টিকা নেন। স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে পর্যাপ্ত টিকা আছে। যারা টিকা নিতে চাইবেন তাদের সবাইকে টিকা দেয়া হবে। নির্ধারিত দুই দিনে ১০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও এর বাইরে কেউ আসলে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।’
তিনি জানান, ‘যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গণটিকা দেয়া হবে। এজন্য পাঁচটি বুথ করা থাকবে। প্রতিটি বুথে পাঁচজন করে দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে দুইজন নার্স ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৩২ লাখ ২২ হাজার ৬১২ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৯ জন প্রথম ডোজ, ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ জন দ্বিতীয় ডোজ ও ২৯ হাজার চারজন তৃতীয় ডোজে টিকা নিয়েছেন।