আজ - বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৪:১৮

অনার্স পরিক্ষায় ফেল করে অভনগরের প্রান্ত আত্ম*হ*ত্যা করলো

তিন পৃষ্ঠা চিরকুট লিখে রেখে আত্মহত্যা করল প্রান্ত
যশোর অভয়নগরে পায়রা ইউনিয়নের সমষপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান সরদারের বড় ছেলে সোহানুর রহমান প্রান্ত (২৭) নিজের একটু ভুল বোঝার জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।প্রান্ত আত্মহত্যা করা আগে তিন পৃস্টার একটি আবেগঘন চিরকুট লিখে গেছেন মায়ের কাছে।সোহানুর রহমান প্রান্তের সেই চিরকুট লেখাটি হুবহ তুলে ধরা হল।

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

প্রিয় মা
“আমার স্বপ্নগুলি কোনদিন পুরন হবেনা আমার শেষ ইচ্ছাটা রেখো অন্তত”
(আমার লাশটি যেনো পোস্টমর্টেমে যেনো না যায়)
আমি হঠাৎ মারা গেলাম আমার আর বাঁচতে ইচ্ছা হয়না অনেকদিন থেকেয়।আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট দিছে আবার ফেল করছি তৃতীয় বর্ষের রেজাল্ট দিবে দুই টাই ফেল হবে।দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ বর্ষের এর পরিক্ষার চাপ পড়াশুনা আমার আর ভালো লাগেনা।আর এই জবটা করে এই দেনার বোঝা সামলানো-তোমাদের জন্য কিছু করতে ও পারবোনা।আসলে আমার কপাল টা ভালোনা আল্লাহ যেনো ভালো কিছু আমার জন্য লেখে নি তার জন্য এমন পরিস্থিতি।আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো ছোট ভাইকে ভালো স্কুলে পড়ালেখা করাবো।

তোমার জন্য আব্বুর জন্য কেনাকাটা করবো।এই পরিবারের দ্বায়িত্ত্ব নিবো তা আর হবেনা কারন তার জন্য অনেক টাকার একটা ভালো চাকরির দরকার তা আমার কপালে নায়। মা” তোমার কথাটা না শুনে আমার এমন হলো যদি বাইক টা না কিনতাম তাহলে এরকম দেনা হতাম না।আবার ঐ দিকে আমার স্বপ্ন ছিলো এক টা বাইক কিনবো।এখন ভেবে দেখছে আমার স্বপ্ন ও কোনদিন পুরন হবেনা। আর তোমাদের জন্য কিছু করতে পারবোনা। আমার শরিরটা আল্লাহ দিছে কোন ভারি কাজ বা বিদেশ গিয়ে অনেক অনেক টাকা ইনকাম করবো তাও হবেনা।তাই আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হিসাব করে তোমাদের কাদিয়ে চলে গেলাম।আমার জন্য অনেক মা তুমি অনেক কান্না করবে ভাই বোন অনেক কেদেছে।তাই তোমাদের একা ফেলে চলে যাচ্ছি।ছোট ভাইকে আমার থেকে ভালো ভাবে মানুষ কর।আমার চলে যাওয়াতে ওদের বেশি ভালোবাসবে মানুষের মত মানুষ বানাবে।আব্বু আম্মুকে তুমি অনেক বেশি ভালোবাসবে আম্মু অসুস্থ। দেক্ষেশুনে রাখবে হেল্প করবে।আল্লাহ তোমাদের সুন্দর রাখবে দেখো।আমার সেলারি ঢুকবে কার্ডের পিন নাম্বার টাকা টা তুলে নিও ১০ তারিখ ও আর আমার ফোন ও রাহাতের ফোন অফিসের কাজগুলি অফিসে ফেরত দিও।আনার কাছে ও বাই টি সব বিক্রি করে দেনা টা পরিশোধ করে দিও।আমি চলে গেলাম তোমাদের ছেড়ে অনেক দূরে আমার কপালটা হয়ত বেচে থাকতাম।

তোমার ছেলে (প্রান্ত)

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত